
প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ ১০ দিন পর সচল হওয়া ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩নং ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলেও, একই দিনে বয়লারের পাইপ ফেটে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১নং ইউনিটটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়।.
.
বুধবার (৩০ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে ৩নং ইউনিটটি উৎপাদনে ফেরে এবং তা থেকে প্রতিদিন ১৬০ থেকে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই ইউনিটটি সচল রাখতে প্রতিদিন ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়।.
.
অন্যদিকে, সকালেই বয়লারের পাইপ ফেটে ১নং ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, যা আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করত। একে সচল রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন হয় ৭০০-৮০০ মেট্রিক টন কয়লা।.
.
প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২নং ইউনিটও। এটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে অচল রয়েছে। তখন প্রতিদিন এই ইউনিট থেকে ৬৫-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত।.
.
জানা গেছে, গত ২১ জুলাই ভোরে যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে ৩নং ইউনিট এবং দুপুরে ১নং ইউনিট বন্ধ হয়ে পড়ে। পরদিন রাত ১২টার দিকে ১নং ইউনিটটি চালু হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ১নং ইউনিটটি মেরামত করে চালু করতে অন্তত ৩-৪ দিন সময় লাগবে। তবে ৩নং ইউনিট চালু থাকায় উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিং কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে জানান তিনি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার সরবরাহ পুরোপুরি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকেই হচ্ছে। বর্তমানে কয়লাখনির ইয়ার্ডে প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। তিনটি ইউনিট একসঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হলেও তা বাস্তবে সম্ভব হচ্ছে না।.
.
উল্লেখ্য, কয়লার অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে ২৩ জুন থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, পুরনো ১৩০৫ নম্বর ফেইসের কয়লা ফুরিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন থেমে যায়। নতুন ১৪০৬ নম্বর ফেইসে যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ চলমান এবং আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুনরায় উত্তোলন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ।.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: